জাপানে ভিসা আবেদন এখন সম্পূর্ণ ফ্রি

নতুন করে জাপানে ভিসা আবেদন পদ্ধতি
বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য  জাপানে ভিসা আবেদন পদ্ধতি এখন আরও সহজ ! ভিসা ফি নেই, কেবলমাত্র ডকুমেন্টস ভিত্তিক মূল্যায়ন। ৩ নভেম্বর ২০২৪ থেকে, বাংলাদেশে জাপান দূতাবাস নতুন ভিসা আবেদন পদ্ধতি চালু করেছে যা VFS Global-এর মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এখন সবার মনে একটাই প্রশ্ন  VFS Global আসলে বিষয়টা কি?  VFS Global আসলে একটি Multinational Commercial  Company.যারা মূলত বিভিন্ন দেশের সাথে ভিসা প্রক্রিয়াধীন কাজ করছে।এখন Embassy of Japan in Bangladesh ভিসা আবেদন অনেক বেশি হওয়ায় ভিসার কাজ গুলো নিজে নিজে করতে সক্ষম হচ্ছে না বা দ্রুত করার জন্য জন্য নতুন করে একটি কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছে সেই কোম্পানি হচ্ছে  VFS Global. এই আপডেট বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের জন্য আবেদন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও সুবিধাজনক করেছে। আসুন, এই নতুন প্রক্রিয়া, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, এবং সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।

নতুন ভিসা পদ্ধতির মূল বৈশিষ্ট্য

১. কোন ভিসা ফি নেই: নতুন প্রক্রিয়ার একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল, আবেদনকারীদের আর জাপান ভিসার জন্য ফি প্রদান করতে হবে না। তবে, আবেদন প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য VFS Global সার্ভিস ফি হিসেবে ১৯০০ টাকা গ্রহণ করবে।

২. ডকুমেন্টস ভিত্তিক মূল্যায়ন: আবেদনকারীদের ইন্টারভিউ দিতে হবে না। বরং তাদের জমা দেওয়া ডকুমেন্টসের ভিত্তিতে ভিসা ইস্যু করা হবে। এই পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ এবং দ্রুত করেছে।

৩. VFS Global এর ভূমিকা: এখন থেকে জাপান দূতাবাস সরাসরি ভিসা আবেদন গ্রহণ করবে না। আবেদনগুলো VFS Global-এর মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

জাপান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় নথি

একটি মসৃণ আবেদন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে আবেদনকারীদের নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলি প্রস্তুত করতে হবে। প্রতিটি ডকুমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যেকোনো ডকুমেন্ট অভাবে প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হতে পারে।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো নিচে দেওয়া হলো:

১. পূর্ণাঙ্গ আবেদন ফর্ম: সঠিকভাবে পূরণকৃত আবেদন ফর্ম।

২. বৈধ পাসপোর্ট এবং ফটোকপি: পাসপোর্টে পর্যাপ্ত মেয়াদ থাকতে হবে এবং তার একটি পরিষ্কার ফটোকপি।

৩. পুরনো পাসপোর্ট এবং ফটোকপি: পূর্ববর্তী পাসপোর্টের একটি ফটোকপি জমা দিতে হবে।

৪. ছবি (৩৫x৪৫ মিমি): জাপান ভিসার ফটো স্পেসিফিকেশনের সাথে মিল রেখে দুই কপি ছবি।

৫. এয়ারলাইন বুকিং কপি: ভ্রমণের সময়সূচীর একটি কপি।

৬. হোটেল বুকিং কপি: থাকার জায়গার বুকিং প্রমাণ।

৭. ট্যাক্স পেমেন্ট রিসিপ্ট (গত ৩ বছরের): গত তিন বছরের ট্যাক্স পেমেন্টের প্রমাণ।

৮. ব্যাংক স্টেটমেন্ট (শেষ ৬ মাস): এটি আপনার আর্থিক সক্ষমতা প্রমাণ করে।

৯. ভিজিট শিডিউল: জাপানে অবস্থানের সময়সূচী।

১০. এনওসি (নিয়োগকর্তার অনাপত্তিপত্র): নিয়োগকর্তার অনুমোদন পত্র।

১১. কভার লেটার: আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য ও বিবরণের উপর ভিত্তি করে একটি ফর্মাল চিঠি।

যদি গ্যারান্টার থাকে, তাহলে অতিরিক্ত ডকুমেন্ট:

১. গ্যারান্টারের আমন্ত্রণ পত্র: গ্যারান্টারের কাছ থেকে আমন্ত্রণপত্র।

২. গ্যারান্টারের সাথে সম্পর্কের প্রমাণ: সম্পর্কের প্রমাণপত্র।

৩. গ্যারান্টারের ব্যাংক স্টেটমেন্ট (শেষ ৬ মাস): যদি গ্যারান্টার ভ্রমণের খরচ বহন করেন।

৪. গ্যারান্টি লেটার: গ্যারান্টারের আর্থিক দায়িত্ব গ্রহণের চিঠি।

Meiji Education

For an Inquiry about Japan: (880) 1930-350350




    নতুন প্রক্রিয়ার সুবিধা

    এই আপডেটটি বাংলাদেশিদের জন্য জাপান ভিসা প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও কার্যকর করেছে, যার মধ্যে কিছু প্রধান সুবিধা রয়েছে:

      • খরচ সাশ্রয়: ভিসা ফি না থাকায় আবেদনকারীদের শুধু VFS সার্ভিস ফি দেওয়ার প্রয়োজন হবে।
      • সহজ এবং কার্যকর: VFS Global-এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্থানে আবেদন জমা দেয়া যাবে, দূতাবাসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
      • দ্রুত প্রসেসিং: ডকুমেন্টস ভিত্তিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রক্রিয়া আরও দ্রুত সম্পন্ন হবে।

    কিভাবে আবেদন করবেন

    কিভাবে আবেদন করবেন

    ১. অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারণ: VFS Global-এর ওয়েবসাইট ভিজিট করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন।

    ২. ডকুমেন্ট প্রস্তুত করুন: সব ডকুমেন্ট ঠিকভাবে প্রস্তুত আছে কি না যাচাই করুন।

    ৩. VFS সেন্টারে যান: নির্ধারিত সময়ে সমস্ত ডকুমেন্ট নিয়ে VFS সেন্টারে উপস্থিত হন এবং সার্ভিস ফি প্রদান করুন।

    ৪. আপনার আবেদন ট্র্যাক করুন: VFS Global-এর অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে আপনার আবেদন প্রক্রিয়া ট্র্যাক করতে পারেন।

    গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    • নথির সঠিকতা: আবেদনকৃত সকল তথ্য সঠিক কিনা তা নিশ্চিত করুন।
    • সার্ভিস ফি: ১৯০০ টাকা সার্ভিস ফি নিয়ে সেন্টারে উপস্থিত হন।
    • পাসপোর্টের মেয়াদ: পাসপোর্টের মেয়াদ চেক করুন কারণ মেয়াদ শেষ হলে আবেদন বাতিল হতে পারে।

    বিস্তারিত তথ্যের জন্য VFS Global অথবা বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করুন।

    আরও তথ্যের জন্য মেইজি এডুকেশনে যোগাযোগ করুন

    যারা জাপানে উচ্চশিক্ষা নিতে চান, তাদের জন্য মেইজি এডুকেশন সর্বোত্তম সহযোগিতা প্রদান করছে। মেইজি এডুকেশন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় একটি স্টাডি অ্যাব্রড কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান, যারা জাপানে পড়াশোনার স্বপ্ন পূরণে শিক্ষার্থীদের পাশে রয়েছে। জাপানের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে আমাদের চুক্তি রয়েছে এবং আমরা শিক্ষার্থীদের ভিসা আবেদন, ভর্তি প্রক্রিয়া এবং আবাসনের বিষয়েও সেবা প্রদান করছি।

    মেইজি এডুকেশনের সেবাসমূহ:

      • জাপানে উচ্চশিক্ষার জন্য স্টাডি প্রোগ্রামের পরামর্শ
      • ভিসা প্রসেসিং এবং ডকুমেন্টেশন সহায়তা
      • আইইএলটিএস প্রস্তুতি এবং ভাষা কোর্স
      • ছাত্রাবাস এবং আবাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে গাইডলাইন
      • স্টাডি প্ল্যান এবং ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং

    আমাদের অভিজ্ঞ টিমের সহযোগিতায় আপনার জাপানে পড়াশোনার লক্ষ্য বাস্তবায়িত করুন। আমরা প্রতিটি শিক্ষার্থীর একান্ত প্রয়োজনের প্রতি যত্নশীল এবং তাদের সফল শিক্ষাজীবনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। যদি আপনি জাপানে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী হন, তবে আজই মেইজি এডুকেশনের সাথে যোগাযোগ করুন এবং আপনার স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ নিন!